বাকৃবিতে নিরাপত্তা শাখায় বেতনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নিরাপত্তা শাখায় একজন নিরাপত্তা রক্ষীর বেতনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৯ জুলাই ২০২৩ ভুক্তভোগী মোঃ আবুল বাসার (নিরাপত্তা রক্ষী) বাকৃবির রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা শাখার হিসাব রক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিলের টাকা প্রস্তুত ও বিতরণ করেন এবং মিজানুর রহমান যেভাবে বিল প্রদান করেন আবুল বাসার তা বিশ্বাস করে সেভাবেই নিয়ে থাকেন।
গত জানুয়ারি ২০২৩ আবুল বাসার পারিবারিক সমস্যার কারণে একদিনও চাকুরি না করলেও মিজানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিলের মাধ্যমে পুরো মাসের বেতন তুলে নিয়েছেন। বিলের বিষয়টি নিয়ে আবুল বাসারের সন্দেহ হলে তিনি কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ২৭ দিনের বিল বাবদ ১৪,৮৫০টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪ দিনের বিল বাবদ ১৩,২০০ টাকা, মার্চ মাসে ২৬ দিনের বিল বাবদ ১৪,৩০০ টাকা, এপ্রিল মাসে ২৫ দিনের বিল বাবদ ১৩,৭৫০ টাকা, মে মাসে ২৬ দিনের বিল বাবদ ১৪,৩০০ টাকা বিলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তোলন করা হয়। বিলের এই তথ্যাদির সত্যতা পাওয়া গেছে।
অথচ মিজানুর রহমান ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ দিনের বিল বাবদ ৮,৮০০ টাকা, মার্চ মাসে ১২ দিনের বিল বাবদ ৬,৬০০ টাকা, এপ্রিল মাসে ১৭ দিনের বিল বাবদ ৯,৩৫০ টাকা, মে মাসে ১৫ দিনের বিল বাবদ ৮,২৫০ টাকা ভুক্তভোগী আবুল বাসারকে প্রদান করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করা হচ্ছে। বিলের টাকার (অভিযোগের) সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষণ শাখায় যোগাযোগ করতে বলেন।
এ নিয়ে নিরাপত্তাশাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগী আবুল বাসারকে প্রতি মাসে টাকা কম দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করায় মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন এ জন্য আবুল বাসার তার (মিজানুর রহমান) উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন।