ভারতীয় মুসলমানরা মসজিদ, বিদ্যালয়গুলিকে করোনা সেবা কেন্দ্র বানিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ভারতে দিন দিন করোনা সংক্রমন ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানরা রোগীদের সহায়তার জন্য মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোকে (ইসলামিক স্কুল)  করোনার সেবা কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করেছে ।

২২ শে এপ্রিল থেকে ভারত প্রতিদিন প্রায় ৩০০,০০০ এরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। অস্বাভাবিক হারে এ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশেটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে সঙ্কটে ফেলেছে, যার ফলে হাসপাতালের বিছানা, অক্সিজেন এবং ইমারজেন্সি ওষুধের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে।

তবে এমন পরিস্থিতিতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই পবিত্র রমজান মাসে।

গুজরাটের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যের ভোদোদরা শহরে দারুল উলূম মাদ্রাসা এবং ইসলামীক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে করোনা রূগীদের সেবায় একটি অক্সিজেনযুক্ত বেড এবং  আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করেছে। সেখানকার মসজিদের একটি অংশকেও রূপান্তর করা হয়েছে করোনা সেবায়।

জাহাঙ্গীরপুরা মসজিদের কমিটির অন্যতম সদস্য ইরফান শেখ আনাদোলু বলেছেন, “আমরা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কেন্দ্রটি চালানোর জন্য চিকিৎসক নিয়োগ করেছি।

রাজধানী নয়াদিল্লিতে, যেখানে হাসপাতালগুলি অক্সিজেনের তীব্র ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে, অনেক আলেম ঘোষণা করেছেন যে তারা রোগীদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করছেন।

এছাড়া ভারতের মুসলিম গোষ্ঠীগুলো আইসোলেশন বেড  এবং অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও ঘোষণা করেছে।  শয্যা ও অক্সিজেনের ঘাটতি হলে দেশব্যাপি সহযোগিতার জন্য তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোষণা দিচ্ছে

মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যে সেখানকার মুসলিম বাসিন্দা শাহনওয়াজ শাইখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছেন কারণ তার সংস্থাটি করোনা পজিটিভ রোগীদের সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে রয়েছে। প্রতিদিন ৫০০ এর বেশি রোগিকে তারা সেবা দিতে পারছেন বলেন শাহনওয়াজ শাইখ

নয়াদিল্লি-ভিত্তিক অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন-এর প্রধান ইমাম মাওলানা উমর আহমেদ ইলিয়াসি আনাদোলু বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রত্যেককে অবিলম্বে এগিয়ে আসা উচিত। মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত মাদ্রাসা, স্কুল এবং কমিউনিটি হলগুলি এই সংকটে ব্যবহার করা উচিত, ।
“আমাদের একসাথে লড়াই করতে হবে, এবং এই সময়ে পরিস্থিতি খুব খারাপ।”
শুক্রবার পর্যন্ত, দেশের মোট আক্রান্ত ১৮.৭ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে এবং মৃত্যু হয়েছে  ২০৮,৩৩০ । দেশটির বিশেষজ্ঞরা আগামী সপ্তাহগুলিতে উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমন বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন।
সুত্রঃ টিআরটি ওয়াল্ড
  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3