‘অনলাইনের সংখ্যাই বেশি, কাগজের পাঠক পড়ে যাচ্ছে’-প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা গণমাধ্যমকে গুরুত্ব দিচ্ছি। গণমাধ্যমে এখন অনলাইনের সংখ্যাই বেশি। কাগজের পাঠক পড়ে যাচ্ছে। তারপরও আমাদের যাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, সকালে পত্রিকা হাতে না পেলে মনটাই খারাপ হয়ে। এককাপ চা, আর পত্রিকা সকালের রুটিন হয়ে গেছে। আর এখনকার ছেলে-মেয়েরা তো ল্যাপটপ খুলে বসে। সেটা আবার ভিন্ন বাস্তবতা।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ৩১ তলা ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতির জনকের কন্যা।

দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন- এত উন্নয়ন, ম্যাজিকটা কী? আসলে কোনো ম্যাজিক নয়। দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। একে পুজিঁ করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

বিএনপি-জামায়াত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেকে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনতে চায়। যারা বাংলাদেশের জন্ম চায়নি। যারা উন্নয়ন চায় না, তারা ক্ষমতায় আসলে কীভাবে এদেশের উন্নয়ন হবে?

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই, এমন সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। স্বাধীনতা যদি না থাকত, তাহলে পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন ও টক শোতে কীভাবে এত এত লেখা ও সমালোচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার চেয়ে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা বেশি জরুরি। কারণ দেখা যাচ্ছে, মালিক-সম্পাদক প্রায়ই একই ব্যক্তি হয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে চাইলেই সাংবাদিকেরা সবকিছু করতে পারছেন না। তাই সাংবাদিকদের স্বাধীনতাই বেশি প্রয়োজন।

সাংবাদিকদের নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের যেমন নীতিমালা আছে, তেমনি সাংবাদিকদের জন্যও নীতিমালা আছে। সাংবাদিকদের সেই নীতিমালার মেনে চলতে হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি গোলাম সারওয়ার।

উল্লেখ্য, প্রেস ক্লাবের বর্তমান কমিটি এবং প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় ভবনটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত রমজানে প্রেসক্লাবের এক ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী নতুন এ ভবনটি নির্মাণের ঘোষণা দেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের পুরনো ছোট ভবনটি ভেঙে নতুন ওই ৩১ তলাবিশিষ্ট ভবন করা হবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এ ভবনটিতে বড় বড় কনফারেন্স হল, ডরমেটরি, সুইমিংপুল, সেমিনার কক্ষ, সিনেপ্লেক্স, মিডিয়া মিউজিয়াম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, মিডিয়া হাউস, আইটি সেল, সবুজ বাগান, বিদেশি মিডিয়া অফিস, আবাসিক হোটেল, আধুনিক রেস্টুরেন্ট, ভিআইপি লাউঞ্জ, ক্যান্টিন ও সাংবাদিক লাউঞ্জসহ থাকবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

এছাড়া ভবনের ছাদে থাকবে অত্যাধুনিক হ্যালিপ্যাড।

  •  
  •  
  •  
  •  

Tags: