ময়মনসিংহে ৭ আগস্ট থেকে “ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার টিকা” কার্যক্রম শুরু

titu

নিউজ ডেস্কঃ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের ৬৬ টি বুথে ২৫ উর্ধ ৩০০ জন করে মোট ১৯৮০০ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। আগামীকাল (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম ৮ ও ৯ তারিখেও চলবে।

করোনা ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে সোমবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।

কাউন্সিলরগণের উদ্দেশ্যে মেয়র জানান, ওয়ার্ড পর্যায়ের বুথসমূহে নাগরিকগণ তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে দিনে ৬০০ মানুষের অধিক যেন টিকা কেন্দ্রে ভিড় না করে এবং তাদের যেন ভোগান্তি না হয় সে বিষয়ে উদ্যোগী এবং উদ্ভাবনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

টিকা গ্রহণে জনগণকে উৎসাহ প্রদানে কাউন্সিলর ও র্কর্মকর্তাগণের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে মেয়র ঘোষণা করেন, জনসংখ্যার অনুপাতে যে ওয়ার্ডে সর্বাধিক জনগণ টিকা প্রহণ করবেন, সে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং সংযুক্ত কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হবে।

ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনা টিকা কার্যক্রম সফল করতে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন বেশ কিছু প্রস্তুতি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেমনঃ

১। প্রতিটি কেন্দ্রে (বেশির ভাগ স্কুল এবং কলেজ) ভ্যাকসিন সহকারে ঠিক সময়ে টিকাদান কর্মী, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২। প্রতি কেন্দ্রে ব্যানার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদের টিকা নিন, সুস্থ থাকুন লিখা সম্বলিত টি শার্ট সরবরাহ করা হয়েছে,যাতে সহজে তাদেরকে টিকা গ্রহণকারীগণ চিনতে পারেন।

৩। প্রতি কেন্দ্রে সমন্বয়ের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

৪। প্রতি কেন্দ্রে আনসার ও পুলিশ নিয়োগের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

৫। সকল পর্যায়ের প্রশিক্ষন সম্পন্ন করা হয়েছে।

৬। টিকা পরবর্তী বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেডিকেল টিম এবং এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

৭। প্রতিটি কেন্দ্রে মাইকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

৮। মেডিকেল বর্জ্য যথাসময়ে অপসারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করবে।

৯। চাহিদামাফিক টিকা সিভিল সার্জন অফিস হতে সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

১০। প্রতিটি কেন্দ্রে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

১১। কাউন্সিলরগণ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অগ্রগতি জানাচ্ছেন।

১২। মাননীয় মেয়র মহোদয় সার্বিক বিষয় মনিটর করছেন এবং করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন।

১৩। বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পরিচালক( স্বাস্থ্য), জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: