ভারতের দেয়া নিম্ন মানের চাল নিচ্ছেনা বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্কঃ ল্যাব পরীক্ষায় ‘নিম্নমান’ নিশ্চিত হওয়ার পর চালের চালান নিচ্ছেনা বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর।ভারতের বিশাখাপত্তনম বন্দর থেকে চাল নিয়ে আসা এমভি ড্রাগন জাহাজকে চাল নিয়ে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।

জিটুজির আওতায় ভারতের ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল সরবরাহের চুক্তি হয়।

নাফেদ থেকে প্রথম দফায় কনটেইনারে ৫৩৪ টন চাল পাঠানোর পর গত জুলাইয়ের শেষদিকে দ্বিতীয় দফায় এমভি ড্রাগন জাহাজে প্রতিষ্ঠানটি ১৯ হাজার ২০০ টন চাল চট্টগ্রামে পাঠায়। প্রতি টন চাল ৪০৭ ডলারে কেনা হয়। গত ২২ জুলাই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসার পর চালের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় সরকারি খাদ্য বিভাগের ল্যাবে।
ল্যাব প্রতিবেদন আসার পর বন্দরের এক নম্বর জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানোর পর চাল খালাস শুরু হয়। এরই মধ্যে তিন হাজার ২৮৯ টন চাল ছাড় করে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি গুদামে পাঠানোর পর দেখা যায় চালগুলো নিম্নমানের। বর্তমানে জাহাজটিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৫ কোটি টাকারও বেশি দামের চাল রয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় জাহাজ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুনরায় ল্যাবে পাঠায় খাদ্য অধিদফতর। ল্যাব পরীক্ষায় নিম্নমান আসায় চালগুলো নিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এরপর গত ৮ আগস্ট বন্দরের বহির্নোঙরে পাঠানো হয় জাহাজটি। ওইদিন থেকে এখন পর্যন্ত জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছে।

চাল ফেরত গেলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটি জাহাজটিকে বহির্নোঙরে বসিয়ে যেকোনও মূল্যে চাল গ্রহণে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র : ডিইএফআরএস

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: ,