মহাসড়কের পাশের ঝোঁপে দুই যুবকের লাশ

নিউজ ডেস্ক:

নরসিংদীতে মহাসড়কের পাশের একটি ঝোপ থেকে চাদরে মোড়ানো দুটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শ্রীফুলীয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশ থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের মধ্যে একজন প্রাইভেট কার চালক রুবেল মিয়া (২৬) নামের বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। রুবেল পলাশ উপজেলার খানেপুর বটতলা এলাকার তোফাজ্জল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, মহাসড়কের পাশে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ বস্তাবন্দি চাদরে মোড়ানো দুটি লাশ উদ্ধার করে। অজ্ঞাতপরিচয় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে রুবেলের বাবা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

রুবেলের সহকর্মীরা জানায়, পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে রুবেল তাঁর এক বন্ধুর প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে চালাতেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভাড়া আছে বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে দুপুরের দিকে রুবেল তাঁর সিএনজিচালক বাবাকে নরসিংদীর ভেলানগরে আসতে বলেন। কিন্তু তাঁর বাবা সিএনজি নিয়ে পুলিশের ভয়ে ভেলানগর আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তার পর থেকে রুবেলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গাড়ির জিপিআরএসে শেষ গন্তব্য শিবপুরের বড়ইতলা দেখিয়েছে।

নিহত রুবেলের বাবা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বুধবার দুপুরে রুবেল আমাকে ভেলানগর আসতে বলে। কিন্তু সিএনজি নিয়ে মহাসড়কে আসলে পুলিশ জরিমানা করে বিধায় আমি আসিনি। আমি তো আর জানতাম না আজকে আমার ছেলের লাশ দেখতে পাব। রাতে যখন সে বাড়ি না আসে তখন তার ফোনে ফোন করলে বন্ধ পাই।’

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) মেজবাহ উদ্দিন ও শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, লাশের সুরতহাল ও প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে এবং অন্যজনকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রুবেল মিয়া নামের একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর বাবা ও ভাই এসে লাশ শনাক্ত করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •