বিশ্ব পরিবেশ দিবসঃ বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ করণীয়
মোঃ মাসুদ রানা কবির
আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো সমগ্র বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস।পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য সকল প্রাণিকূলের বসবাসের জন্য অনুকূল প্রকৃতি ও পরিবেশ অনস্বীকার্য। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ও আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্রমে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সমগ্র বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন, নগরায়ন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে প্রতিনিয়ত পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন- মাটি, পানি ও বায়ু দূষণের ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর গ্রিনহাউজ গ্যাস যেমন- কার্বনডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজোন ও ক্লোরোফ্লুরো কার্বন এর নিগর্মন ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু। এর প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির উচ্চতা ও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষকদের তথ্য মতে, এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাসহ পৃথিবীর অনেক দেশের নিম্নাঞ্চল সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।এছাড়াও আবহাওয়া ও জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিনিয়ত দেখা দিচ্ছে।পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাটি, পানি ও বায়ুদূষণ রোধে এবং জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু সংরক্ষণের জন্য ১৯৭২ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রতিবছর ৫জুনকে “বিশ্ব পরিবেশ দিবস” হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দিনদিন বাংলাদেশে ঋতু বৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ে আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি ও পরিবর্তন হচ্ছে। ছয় ঋতুর দেশে কখন কোন ঋতু তা বোঝা মুশকিল।প্রকৃতির আচরণ এক বড়ই বৈচিত্রময়।একদিকে প্রলম্বিত হচ্ছে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকাল, অন্যদিকে সংকুচিত হচ্ছে শীতকাল।শরৎও হেমন্ত ঋতুতে ও সংকটাপন্ন অবস্থা। মৌসুমে চাষাবাদে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতও তাপমাত্রা পাওয়া যাচ্ছে না।অদূর ভবিষ্যতে হয়তো বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে নির্বিচারে গাছপালা, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও পাহাড় -টিলাধ্বংস, নদ-নদীর অস্তিত্ব ধ্বংস, কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়া, পশুপাখির বাসস্থান বিনষ্টকরণ প্রকৃতির ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট করছে। সমগ্র বিশ্বব্যাপী তথাকথিত উন্নয়নও অগ্রগতির এক অসম প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।এই প্রতিযোগিতার ফলে প্রকৃতি তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছেনা বলেই প্রকৃতি তার মতো প্রতিশোধ নিচ্ছে।তাইতো বলতে হয় –”দাও ফিরিয়ে সে অরণ্য, লও এ নগর”।
বর্তমান সময়ে সমগ্র পৃথিবী কোভিড-১৯ নামক ভয়াবহ মহামারীর আঘাতে পর্যদুস্ত।এই মহামারী ও সমগ্র মানবজাতির অবিবেচনা প্রসূত ও বিনাসী কর্মকাণ্ডের ফলাফল।তারপরও প্রকৃতি বিনাসী কর্মকাণ্ড থেমে নেই।গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, চীন, তুরস্ক, অষ্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলসহ অনেক দেশে ভয়াবহ বন্যা, দাবানল ও বৃষ্টিপাত হয়েছে যা ছিলো স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে।ভয়াবহ দাবানলে তুরস্ক, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে বনাঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ও পরে। এর ফলে একদিকে হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য অন্যদিকে কৃষি উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্যখাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আগামী দিনের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা অধ্যুষিত পৃথিবীর প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। একটি দেশের নাগরিক গণের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য অন্যতম।তাইতো বিগত কয়েক দশক ধরে পৃথিবী ব্যাপী আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চাষযোগ্য জমি সংরক্ষণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বনায়নের মাধ্যমে সবুজায়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সকল দেশসমূহ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যেমন- গ্লোবাল ওয়ার্মিং, লবণাক্ততা, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বড় অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে।খাদ্য নিরাপত্তা বলতে খাদ্যের লভ্যতা এবং মানুষের খাদ্য ব্যবহারের অধিকারকে বোঝায়।
সাম্প্রতিক সময়ে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ২৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কপ২৬ সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশ এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।সমগ্র বিশ্বব্যাপী বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দ্রুত কমিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। গ্লাসগো চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়। এই সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে সীমিত রাখা না গেলে সমুদ্রসীমার উচ্চতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে খরা, ঝড়, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও।
এবারের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো দেশগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।তবে কয়লা ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে জোর দিতে সফল হননি আলোচকরা।চূড়ান্ত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমানো বা “ফেজডাউন” করার ভাষাটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।আগের খসড়ায় তা বন্ধ করা বা “ফেজআউট ” করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারত এর পক্ষ থেকে পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছিল।এমন পরিবর্তনে অসন্তোষ জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ।জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গরীব ও উন্নয়নশীল দেশগুলো।তবে কার্বন নিঃসরণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলো চূড়ান্ত চুক্তিতে অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ও কোম্পানিগুলোকে দায় মেটাতে অর্থায়ন করতে বলা হয়েছে। এসব অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বনভূমির ধ্বংস ঠেকানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গৃহীত নানা উদ্যোগের বাস্তবায়ন ব্যয় করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বের সামনে রোল মডেল হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ খরস্রোতা গঙ্গা-ব্রক্ষপুত্র-মেঘনা নদী প্রবাহের অববাহিকায় অবস্থিত, তাই এটি জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ ।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ার হিসেবে এশিয়া, আফ্রিকা, ক্যারিবীয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মোট ৪৮টি দেশের একটি জোট বাংলাদেশে জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।কৌশলগত বিনিয়োগ কাঠামোসহ সিভিএফ দেশের প্রথম পরিকল্পনা যা জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থায়ন একত্রিত করবে।জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সবুজ অভিযোজন হিসেবে সমুদের ডাইক, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। দ্রুত স্থানান্তর নিশ্চিত করতে এবং লক্ষাধিক জীবনও সম্পদ রক্ষার জন্য নদীতীরে ভাঙনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সবুজ বেষ্টনী উন্নয়নও বনায়নকে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ১১.৫মিলিয়নের ও বেশি চারা রোপণ করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করছে। গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জাতিসংঘ ও ইউনিয়নের নেতৃত্বে প্রায় ১০০টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন গ্যাসের নির্গমন গতবছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এবং পৃথিবী নামক এই সবুজ গ্রহকে আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ও বসবাসযোগ্য রাখতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দদের উচিত অনতিবিলম্বে সকল ভেদাভেদ ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব পরিহার করে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন।পরিবেশ দূষণরোধে এবং সুস্থ, সুন্দর ও সবুজ আগামী গড়ার প্রত্যয়ে নিম্নোক্ত পদক্ষেপে গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে-
১. জীবাশ্ন জ্বালানি যেমন- কয়লা, ডিজেল, পেট্রোল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি যেমন- সৌরশক্তি ও বায়োগ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো ও প্রসার ঘটাতে হবে।
সেই সাথে অপ্রতুল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন- পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অপচয় রোধ করার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
২. নতুন শিল্পকারখানা ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিবেশ ও প্রতিবেশ বান্ধব উপায়ে এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকা হতে নিরাপদ দূরত্বে স্থাপন করতে হবে।সেই সাথে সকল শিল্পকারখানায় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্যপদার্থ যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং পরিত্যক্ত বিভিন্ন সামগ্রী যেমন- পুরনো কাগজ, কাঁচ, প্লাস্টিক এর পুনর্ব্যবহারে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
৪. জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোর সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে যথাযথ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন অতীব জরুরী।
পরিবেশ দূষণরোধে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রকৃতি ও পরিবেশকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আগামী দিনের সকল কর্মসূচি প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ, সবুজ ও বাসযোগ্য আগামী গড়ে তোলা সম্ভব।পরিশেষে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় বলতে চাই-
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ- পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
লেখকঃ মোঃ মাসুদ রানা কবির, সহকারী অধ্যাপক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়