কোরবানির চামড়া ও করণীয়

নিউজ ডেস্কঃ

সামনেই আসছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ।নামই বলে দিচ্ছে , ঈদুল আজহার অবিচ্ছেদ্য অংশ কোরবানি। আরকোরবানির অন্যতম শর্ত  সুস্থসবল পশু। আল্লাহর সন্তুষ্টি তার ইবাদতের জন্য এই পশু জবাই করাকেই বলা হয় কোরবানি।প্রত্যেক সামর্থ্যবান নরনারীর ঈদে কোরবানি করে থাকেন। আর কোরবানির সঙ্গে সম্পর্কিত হলো কোরবানির পশুর চামড়া।এই চামড়া বিক্রি, তার অর্থ কিংবা ব্যবহার নিয়ে আমাদের মাঝে নানা মত প্রচলিত আছে। তবে সর্বোত্তম কোনটি?


কোনো ব্যক্তি যদি কোরবানি দেয়, তবে সে তার কোরবানি করা পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কোনোবাধা নেই। কোরবানির চামড়া ব্যবহার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কোরবানির পশুরচামড়া দ্বারা উপকৃত হও; তবে তা বিক্রি করে দিয়ো না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, ‘যখন চামড়া দাবাগাত (প্রক্রিয়াজাত) করা হয়, তখন পবিত্র হয়েযায়।’ (মুসলিম)


কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা যাবে। তবে বিক্রীত অর্থ কোরবানিকারী নিজ কাজে খরচ করতে পারবেন না। আর তানিজের কাজে খরচ করা জায়েজ নয়। অর্থ গরিবমিসকিনদের মাঝে বিতরণ করে দিতে হবে।

হাদিসে এসেছে, হজরত আলি (রা.) আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি যেন কোরবানির মজুরি বাবদ গোশত বা চামড়া থেকে কসাইকে কোনো কিছু প্রদান না করি।
যারা জাকাত, ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত, তারাই কোরবানির চামড়ার অর্থ পাওয়ার হকদার। তবে ক্ষেত্রে ইয়াতিম, গরিবতালিবুল ইলম তথা ইলমে দীনের গরিব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া যাবে। তালিবুল ইলম তথা ইলমে দীনেরশিক্ষার্থী যদি ইয়াতিম বা গরিব হয়, তবে তাকে জাকাত, ফিতরা কোরবানির চামড়ার মূল্য দানে অধিক সাওয়াব রয়েছে।

হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, কোরবানির পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করা উত্তম। তবে তা বিক্রি করলে তার মূল্য নিজেরকাজে লাগানো যাবে না। সেই অর্থ থেকে কসাই এর মজুরি প্রদান করা যাবেনা।

  •  
  •  
  •  
  •