কুকুর সনাক্ত করতে পারবে করোনা রোগী

করোনা ডেস্কঃ

করোনা রোগী আক্রান্তদের গন্ধ শুঁকেই মুহূর্তেেই শনাক্ত করতে পারে প্রশিক্ষিত কুকুরের দল। ফরাসি গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ট্রেনে-বাসে সহযাত্রীরা তো বটেই এমনকি পরিবার-পরিজনের মধ্যেও ভালবাসার বন্ধন ছিন্ন করে দিয়েছে এই ভাইরাস। এখন কে যে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত সেটাই বোঝা মুশকিল হয়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা আশার আলো দেখাচ্ছে। গবেষণায় দূর থেকে গায়ের গন্ধ শুঁকেই নাকি বুঝতে পারা সম্ভব যে কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা।

গবেষণায় বলা হয়েছে, অনায়াসেই ভাইরাসকে গন্ধের মাধ্যমেই চিহ্নিত করতে সক্ষম কুকুর। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে একটি ফরাসি গবেষণা। গত মার্চ ও এপ্রিল জুড়েই চলেছিল একটি দীর্ঘ সমীক্ষা। শুধু করোনাভাইরাস স্যাম্পেল নয়, বরং জনবহুল অঞ্চলেও কুকুরের ঘ্রাণশক্তিকে পরীক্ষা করেছিলেন গবেষকরা। আর সেই সমীক্ষার ফলাফল রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতোই। যেকোনো ল্যাটারাল ফ্লো টেস্ট বা ‘এলএফটি’-কেই হার মানিয়েছে কুকুরের এই ক্ষমতা।

সমীক্ষার জন্য ৬ থেকে ৭৬ বছর বয়সী মোট ৩৩৫ জনের কোভিড নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকরা। একদিকে যেমন সেগুলির আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়েছিল, তেমনই কুকুরের ঘ্রাণশক্তির পরীক্ষার জন্যও সেগুলি ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় উঠে আসে ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুলভাবে ভাইরাল স্যাম্পেলকে শনাক্ত করেছে কুকুর। যেখানে আরটিপিসিআর টেস্ট ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে ফলাফল জানাতে পারে। অন্যদিকে ৯১ শতাংশ ক্ষেত্রে নেগিটিভ স্যাম্পেল সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে কুকুর।

ফলাফল চমকে দেওয়ার মতো হলেও, আরটিপিসিআরের বিকল্প হিসাবে কুকুরের এই ক্ষমতাকে মান্যতা দিতে রাজি নন গবেষকরা। তবে অনায়াসেই যেকোনো রেপিড টেস্টের বদলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরকে কাজে লাগানো যেতে পারে এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের অভিমত, কুকুরের এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে গণ-পরীক্ষা করা সম্ভব। তাতে একদিকে যেমন আয়ত্তে আসবে টেস্টের খরচ, তেমনই ফলাফলও পাওয়া যাবে অতি দ্রুত। পাশাপাশি জনবহুল অঞ্চলেও আক্রান্তদের শনাক্ত করে সংক্রমণের আশঙ্কাকে কমাতে পারবে প্রশিক্ষত কুকুরের দল। তবে ফ্রান্সের এই গবেষণাকে এখনও পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বস্বাস্হ্য সংস্হার এই অনুমোদন এলে সত্যিই বদলে যেতে পারে মহামারীর ছবি।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: , ,