
ব্ল্যাক হোলের জীবন চক্রের গবেষণায় কাজ করছেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী

মোঃ মাসরুল আহসান:
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান বিজ্ঞানী ড. তনিমা তাসনিম অনন্যা ও তাঁর দল ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা করে সাফল্য লাভ করেছেন। অনন্যা বর্তমানে কাজ করছেন আমেরিকার ডর্টমাউথ কলেজে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন সমস্ত বড় বড় গ্যালাক্সির কেন্দ্রস্থল হচ্ছে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলগুলো। এই রকম একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল নিয়ে কাজ করেছেন অনন্যা ও তাঁর দল। সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলগুলো বিভিন্ন গ্যালাক্টিক গ্যাস, ধূলো কণা ও নক্ষত্রসমূহকে গ্রাস করতে পারে। নতুন গবেষণা বলছে একটি ব্ল্যাক হোল কত দ্রুত মহাজাগতিক বস্তুসমূহকে গ্রাস করে যদি এই তথ্য জানা থাকে এবং ব্ল্যাক হোলের ভর জানা থাকে তবে সেই ব্ল্যাক হোল কখন সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে তা জানা যাবে। অর্থাৎ মহাবিশ্বের ইতিহাস জানার এটি একটি দারুণ পন্থা।
অনন্যা ও তাঁর দলের গবেষণা দ্বারা আমরা জানতে পারব কীভাবে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল তার জীবন চক্রে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধির এই পর্যায়কে বলা হয় Active Galactic Nuclei বা AGN. এই রকম একটি AGN নিয়েই গবেষণা করেন অনন্যা। এই গবেষণা আমাদের ব্ল্যাক হোলের জীবন চক্র সম্পর্কে ধারণা দিবে। ব্ল্যাক হোলগুলো কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে বা কোথা থেকে এসেছে তার পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। অনন্যা বলেছেন, “এই বস্তগুলি অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে গবেষকদের রহস্যময় করে রেখেছিল।”
ভবিষ্যতে এই গবেষণা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপ্র ফোকাস করতে পারে। উদ্দেশ্য মহাবিশ্বের পেছনের তথ্য জানা। এখন গবেষকদলের কাজ হচ্ছে কীভাবে AGN ট্রিগার করে তা বের করা, কীভাবে এর গতি বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় তা জানা এবং কত সময় পর্যন্ত এটি স্থায়ী হয় তা নির্ণয় করা। এই গবেষণা মহাবিশ্বের অনেক জটিল প্রশ্নের উত্তর দিবে আশা করা যায়।
You must be logged in to post a comment.