বিশ্বব‍্যাপী আতঙ্কের কারণ মাঙ্কিপক্স

জেবিন তাসমিন:

বর্তমানে বিশ্বে চলমান যেসব প্রাদুর্ভাব গুলো মাথাচারা দিয়ে উঠছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মাঙ্কিপক্স। চলতি বছরের ২০২২ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয় রোগটি। তবে মাঙ্কিপক্স আবিষ্কৃত হয়েছিল 1958 সালে যখন গবেষণার জন্য রাখা বানরদের উপনিবেশে পক্সের মতো রোগের দুটি প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। সাধারণ মানুষ নিয়ে মোটেও সচেতন না। কিন্তু, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গত শনিবার মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব কে বিশ্বব্যাপী ঘোষণা দিয়েছে যা ইতিমধ্যে ৭২ দেশে প্রায় ১৬০০০ মানুষ কে আক্রান্ত করেছে। এখন পর্যন্ত ভারতে মাঙ্কিপক্সের চারটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে যার মধ্যে কেরালা থেকে 3টি, দিল্লি থেকে 1টি।

মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস ঘটিত জুনোটিক রোগ যা প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। এটি সংক্রামিত ব্যক্তির পোশাক বা লিনেন, বিছানা বা তোয়ালে স্পর্শ করার মাধ্যমে বা সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে দীর্ঘস্থায়ী ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সময় ও শ্বাসের মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটতে পারে।

মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ ও উপসর্গ গুটিবসন্তের মতোই: আক্রান্তের ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত উপসর্গহীন।ইনকিউবেশন পিরিয়ডের পর, আক্রান্ত রোগীদের জ্বর, মাথাব্যথা, লিম্ফ নোড ফোলা এবং ক্লান্তি দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলি সাধারণত ১-৪ দিন স্থায়ী হয় এবং তারপরে ফুসকুড়ি এবং ত্বকের ক্ষত তৈরি হয়। সাধারণত মুখে ফুসকুড়ি দেখা যায় এবং তারপর তা হাতের তালু এবং তলদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

এখনো অবদি মাঙ্কিপক্সের কোনো নিরাময় নেই, তবে কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এই রোগের চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3