খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের

নিউজ ডেস্কঃ

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রতিপালনের জন্য একটি পত্রনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের স্ত্রীকে নিয়োগ, স্বজনপ্রীতি ও শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব নিয়োগের অভিযোগের বিষয়টি ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে প্রমানিত হওয়ায় উক্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এ নির্দেশ দিয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওই পত্রে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ স্ত্রীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ প্রদান, ৯ জন নিকটাত্মীয় এবং বিষয় বিশেষজ্ঞ ছাড়া একই ব্যক্তিবর্গকে দিয়ে সিলেকশন বোর্ড গঠন করে ২০টি বিষয়ে ৭৩জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।

এছাড়া খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ণীতিমালা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের নিয়োগ নীতিমালা অনুসরণ করে যুগোপযোগী করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোঃ মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে এসব বিষয়সহ প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন অন্তে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রনালয়ে জমাদানের জন্যও উল্লেখ করা হয়েছে।

পত্রে আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে তা প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বার বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন শিক্ষকের তথ্যমতে, অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগের বাছাই কমিটিতে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ রাখার বিধান থাকলেও সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদের বাছাই কমিটিতে বিশেষজ্ঞ মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক কথাটি উল্লেখ নেই; এ সংক্রান্ত তথ্য খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫ এর ধারা ৩৯ (২)এ  উল্লেখ করা রয়েছে। উক্ত ধারা অনুযায়ী ২০২০ সালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৩ জন সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকের ক্ষেত্রে বাছাই কমিটিতে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ না থাকার বিষয়টি আমলে না নিয়ে ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিত বলে দাবী করছেন ওই শিক্ষক।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3