ফেলনা ভাবা হলেও ‘মাছের আঁশ’ ফেলনা নয়!

নিউজ ডেস্কঃ মাছ কেনা বা কাটার সময় তার আঁশ ফেলে দেওয়া হয়। তবে মাছের সেই আঁশকে ফেলনা ভাবা হলেও আসলে তো ফেলনা নয়।
ফেলে দেয়া এ উপাদান হতে পারে দামি প্রসাধন, অলঙ্কার কিংবা জীবন রক্ষাকারী ওষুধের উপকরণ। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও মাছের আঁশ এখন এমনই অবস্থানে পৌঁছে গেছে।
রাজশাহীর পাইকারি আঁশ বিক্রেতা সালেক হোসেন বলেন, মাছের আঁশের বড় রপ্তানির গন্তব্য হচ্ছে জাপান। কিন্তু সরাসরি জাপানে পাঠানো যায় না। জাপানি একটি বড় কোম্পানি চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় দুটি আলাদা কোম্পানি খুলেছে। ওখানে আগে পাঠানো হয়। মূল কোম্পানি পরে নিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়াতেও এখন কারখানা গড়ে উঠেছে।
রপ্তানির জন্য তৈরি করার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করে। তাদের সনদ পাওয়ার পরই রপ্তানির অনুমতি মেলে। বছরে দেশ থেকে ৮শ থেকে ১ হাজার টন আঁশ রপ্তানি হয় বলেও জানান সালেক হোসেন।
দেশে বর্তমানে তিনটি কারখানা আছে। মোট রপ্তানি হয় আনুমানিক দেড় লাখ ডলারের পণ্য। তবে সুযোগ না থাকায় রাজশাহী থেকে সরাসরি মাছের আঁশ রপ্তানি করা যায় না।
মূলত ঢাকা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তাদের মাছের আঁশ জাপানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। জাপান ছাড়াও থাইল্যান্ড এবং ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে মাছের আঁশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উন্নতমানের প্রসাধনসামগ্রী ফুড সাপ্লিমেন্ট, ক্যাপসুলের ক্যাপ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার হয় ফেলে দেওয়া এই মাছের আঁশ।
রাজশাহীতে মাছের আঁশের এ ব্যবসা একেবারে নতুন হলেও শিগগিরই এর ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।