সংকটে পোলট্রি শিল্প

নিউজ ডেস্কঃ

সংকটে পড়েছে দেশের বেকারত্ব ঘুচিয়ে এগিয়ে যাওয়া পোলট্রি শিল্প। পোলট্রি খাবার, বাচ্চার অধিক দাম, উৎপাদন কমে যাওয়া এবং সিন্ডিকেটের কারণে আগামীতে এ শিল্প চরম অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। নানা সংকটের কারণে ছোট ছোট খামার ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

খামারিরা বলছেন, মুরগি ও ডিমের দাম বাড়লেও আমরা ব্যবসা করতে পারছিনা। করপোরেট ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে নিঃস্ব হচ্ছেন খামারিরা।

পোলট্রি শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারি উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় গত এক বছরে পোলট্রি খামার কমে গেছে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার। ফলে উৎপাদন কমে তৈরি হচ্ছে সরবরাহ ঘাটতি, যার প্রভাবে এরই মধ্যে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম।

এ কারণে ১০ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০৫ থেকে ২১০ টাকা এবং সোনালি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায়।
সামনে রমজান মাস, এ সময় পোলট্রির চাহিদা রয়েছে; প্রান্তিক খামারিরা বাচ্চা নিচ্ছেন এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন করপোরেট ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করেই ১০ থেকে ১২ টাকা দামের ব্রয়লারের বাচ্চা ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।

ব্রয়লারের মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে নিম্নবিত্ত পরিবারের মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন দাম বাড়ার কারণে মুরগি আনা কমিয়ে দিয়েছেন।যেখানে দিনে ২০০ কেজি মুরগি বিক্রি করতাম, সেখানে এখন ১২০ থেকে ১৫০ কেজি মুরগি বিক্রি করছি।

ব্রয়লারের বাজার আরও অস্থির হবে বলে মনে করেন প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, চলতি বছরের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি একটি ব্রয়লারের বাচ্চার দাম ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা। আজ এটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। মুরগির বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো।

সভাপতি বলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুরগির খামারের সঙ্গে ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অবহেলায় আজ পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের পথে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্ব এ শিল্পকে রক্ষা করা। যাতে করে প্রান্তিক খামারিরা বড় লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পান এবং এ ব্যবসায় তারা টিকে থাকতে পারেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3