
প্রাইভেট কোচিং এ করোনা সংক্রমন ঘটছে না তো?

এস এম আবু সামা আল ফারুকীঃ করোনা মহামারীতে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রথমে স্কুল ও কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরেও সম্প্রতি বেশ কিছু বিদ্যালয়ে করোনা সংক্রমনের খবর পাওয়া গেছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জে এসকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুবর্ণা ইসলাম রোদেলা করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু স্থানে শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা সংক্রমনের খবর পাওয়া গিয়েছে। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় অনেকেই আশংকা প্রকাশ করছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমনের জন্য শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা কতটুকু যৌক্তিক সে প্রশ্ন অনেকেরই মনে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সরকার একটি সুনির্দিষ্ট বিধিমালা প্রদান করেছে। এছাড়াও কোনো শিক্ষার্থীর করোনাজনিত উপসর্গ থাকলে তাদের বিদ্যালয়ে না পাঠাতে তাদের অভিভাবককে নিষেধ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের আগে সকল শিক্ষার্থীর তাপমাত্রা মেপে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি কম থাকলেও প্রাইভেট কোচিং এ ঝুঁকি অনেকটাই বেশী। অনেক শহর বা মফস্বলে কোচিং বা প্রাইভেট ব্যবসার ব্যাপক প্রসার রয়েছে। অভিভাবকরা অতি উৎসাহী হয়ে এসব কোচিং সেন্টারে তাদের সন্তানকে পাঠালে সেখান থেকে করোনায় কেউ আক্রান্ত হচ্ছে কিনা সেটিও আমলে নেওয়া উচিৎ। কারণ এসব কোচিং সেন্টারে কোনো স্বাস্থ্যবিধি বা শারীরিক দুরত্ব মানা হয় না। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোচিং করছে কি না তা খতিয়ে দেখা উচিত। মোটকথা এসব কোচিং বা প্রাইভেট ব্যবসার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকিতে পড়ে বন্ধ হয়ে না যায় সেটি খেয়াল রাখা দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
You must be logged in to post a comment.