ফেসবুকে যুক্ত হতে চলেছে নতুন প্রযুক্তি ‘মেটাভার্স’

সাবরিন জাহান

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করতে যাচ্ছেন প্রযুক্তির নতুন ছোঁয়া,যা হার মানাবে কল্পবিজ্ঞানকেও। আর তা হলো ‘মেটাভার্স’। বিজ্ঞানের ভাষায় ভার্চুয়াল একটি কল্পজগতের নাম ‘মেটাভার্স’, এটি এমন একটি অনলাইন জগৎ যেখানে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ, অফিসের কাজ,গেমিং করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

আবার বাড়িতে বসেই সশরীরে ঘুরে আসা যাবে প্রিয় কোন স্থানে। এ জগতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা জমানোও আর অবাস্তব থাকছেনা এই সামাজিক মাধ্যমে। এধরনের ঘটনা দেখতে পাওয়া যায় সায়েন্স-ফিকশনের গল্পে,মুভিতে। তবে আর কিছুদিনের মধ্যে এই প্রযুক্তি আসতে চলেছে মানুষের হাতে।

কল্পনা আর বাস্তবজগতকে এক রেখায় আনার চেষ্টায় মেটাভার্সের এই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বহুদিন আগে থেকেই। বিশ দশকের আগে থেকে বিভিন্ন গল্প,উপন্যাসে দেখা যায় এই কল্পনা বিজ্ঞানের চর্চা। মেটাভার্স নামটি আসে ১৯৯২ সালে প্রকাশিত নিল স্টিফেনসনের সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস ‘স্নো ক্রাশ’ থেকে। বিশ দশকে থেকে চলচ্চিত্রেও ফুটে ওঠে মেটাভার্স।

মাইনরিটি রিপোর্ট, আভাতার,আইরন ম্যান এসব জনপ্রিয় মুভিতে প্রযুক্তির বিস্ময়কর ব্যবহার দেখা যায়। বিশ শতকের শুরু থেকেই এই প্রযুক্তিকে বাস্তবায়িত করতে শুরু হয়েছিল বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির তোড়জোড় এবং অনেকাংশেই এগিয়েছেও সেই কাজ।

এরই ধারাবাহিকতার খাতায় নাম লেখাল ফেসবুক। ‘দ্য ভার্জ’-এর একটি সাক্ষাৎকারে নিজস্ব মেটাভার্স তৈরির পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ। তাঁর দাবি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই এই ভার্চুয়াল জগত তৈরি করে ফেলবে ফেসবুক। এই প্রযুক্তির কল্যাণেই বিপ্লব আসতে চলেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়।

জুকারবার্গ জানান, ত্রি-মাত্রিক এক কল্পজগতে আগামীদিনে যোগাযোগ সম্ভব হবে মানুষের। আর তার জন্য একটি হেডসেট পরে নিতে হবে ব্যবহারকারীকে,যা মূলত একটি চশমার মতো। “চশমাটির আইকনিক গঠন কাঠামো রয়েছে, এবং এগুলো আপনাকে কিছু পরিচ্ছন্ন কাজ করতে দেবে। তাই আমি মানুষের হাতে সেগুলো পৌঁছানোর বিষয়টি নিয়ে এবং ভবিষ্যতে পুরোপুরি বাস্তবায়িত রিয়েলিটি চশমা আনার সফর অব্যাহত রাখার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী”,তিনি বলেন।

মেটাভার্সে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর বাস্তব চেহারার সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে বানানো হবে অবতার যা ব্যবহারকারীর কথা বা অঙ্গভঙ্গির সাথে সাদৃশ্য রেখে প্রতিক্রিয়া দিতে পারে।নিজের ঘরে হেঁটেই কল্পদুনিয়াতেও চলাচল করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন,আগামী পাঁচ বছরে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির দুনিয়ায় ফেসবুক বিপ্লব আনতে পারবে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তার জন্য এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: , ,