
ইতিহাস সৃষ্টি করা জীববিজ্ঞান বিষয়ক মিশন নাসার

মাসরুল আহসান:
সর্বশেষ নাসার সফল চন্দ্রাভিযান ছিল অ্যাপোলো। ৫০ বছর আগের সেই অভিযানের পর আবারো চাঁদের দিকে পাড়ি দিচ্ছে নাসার মহাকাশযান। এই মিশনের নাম দেয়া হয়েছে ‘আর্টেমিস-১’।
নাসার বায়োসেন্টিনেল এই মিশন ইতিহাসের প্রথম মহাকাশ বায়োলজি এক্সপেরিমেন্ট। এই মিশনে মূলত ন্যানো-স্কেলে মানবদেহের উপর স্পেস রেডিয়েশনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। ভবিষ্যতে দীর্ঘসময়ের জন্য মঙ্গলগ্রহ বা আরও দূরবর্তী জায়গায় মানুষের অভিযানে ক্ষেত্রে কী রকম প্রভাব পড়ে তা পর্যবেক্ষণ করাও এই মিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
বায়োসেন্টিনেল একটি কিউব আকৃতির বাক্স যাতে অণুজীব সংরক্ষণ করে নিয়ে যাওয়া হবে। অণুজীব হিসেবে এখানে নিয়ে যাওয়া হবে ইস্ট। মহাকাশ ভ্রমণের সময় ইস্টের উপর পর্যবেক্ষণ রাখা হবে মহাকাশ বিকিরণের প্রভাবে এর কোন পরিবর্তন হবে কি না বা উপসর্গ দেখা যায় কি না সেটি নজরবন্দি রাখা হবে।
এই পরীক্ষায় ইস্ট ব্যবহার করার কারণ মানব কোষের সাথে ইস্টের কোষের বায়োলজিকাল এক্টিভিটিসের বেশ মিল রয়েছে। মিশনে ডিএনএ-র ক্ষয় ও পুনঃগঠনসহ মানুষ ও অন্য যে কোন জৈবিক সত্ত্বার মহাকাশ বিকিরণের ঝুঁকি জানা যাবে। এছাড়াও কোষের বৃদ্ধি ও কোষীয় বিপাক পৃথিবী অক্ষের বাইরে কেমন হবে তারও ধারণা ফিবে এই মিশন।
You must be logged in to post a comment.