প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ পাচ্ছেন ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

নিউজ ডেস্ক:
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের চা শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে। আট ক্যাটাগরিতে সাত প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
চা শিল্পের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে জাতীয় চা পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে প্রথম ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদানের লক্ষে যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় এসব কথা জানান তিনি।
যে আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে সেগুলো হলো, (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান; (২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান; (৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক; (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী; (৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান; (৬) বৈচিত্রময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কম্পানি; (৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কম্পানি; (৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (ব্যক্তি/শ্রমিক)।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।
সভায় চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.